ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি। ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা

 

আপনি যদি ভারতবর্ষের যেকোন প্রান্তের একজন শ্রমিক হয়ে থাকেন তাহলেই আবেদন করতে পারেন ই শ্রম কার্ড এর জন্য। ৩৮ কোটি অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য e-SHRAM পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের ই শ্রম এর সুবিধা দেওয়ার জন্য নাম ও তথ্য নথিভুক্তের কাজ শুরু হয়েছে দেশে। কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে e-SHRAM card থাকলেই একাধিক সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা। এই পোর্টালটির উদবোধনের সময় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছিলেন, এই পোর্টালের সাহায্যে বহু অসংগঠিত শ্রমিককে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে। দেশে এই প্রথম এমন একটি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা শ্রমিকদেরকে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যুক্ত করবে। আবেদন করার পরে, শ্রমিকদের একটি ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN)-সহ একটি ই-শ্রম কার্ড দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা যেকোনো সময় এই কার্ডের মাধ্যমে নানারকম সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের সুবিধাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবে।

ই-শ্রম

ই শ্রম কার্ডের সুবিধা

খাবার পাওয়া গেছে ই শ্রম কার্ড থেকে আমরা মত ২১ টি সুবিধা পাবো। নিচের তালিকার মধ্যে ই শ্রম কার্ড থেকে পাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা গুলি উল্লেখ করেছি
  1. মৃত্যু হলে ২ লক্ষ্য টাকা পাবে বাড়ির লোক।
  2. বড়ো দুর্ঘটনা হলে হাসপাতালের খরচ বাবদ ১ লাখ টাকা।
  3. সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা।
  4. নানা কাজের ফ্রি ট্রেনিং।
  5. সরকারি ও কোম্পানির কাজের সুযোগ।
  6. আর্থিক সহায়তা।
এছাড়াও আরো কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে।



ই শ্রম কার্ড আবেদন

ই শ্রম কার্ডের জন্য করা করা আবেদন করতে পারবে এবং কি কি প্রয়োজন এই বিষয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিচে আলোচলা করা হয়েছে

ই শ্রম কার্ড আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন ?

ই শ্রম কার্ড আবেদন করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা নিচের তালিকায় দেওয়া আছে।
  1. নাম
  2. পেশা
  3. স্থায়ী ঠিকানা
  4. শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ
  5. দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বিবরণ
  6. পরিবারের সদস্যদের বিবরণ
  7. আধার নম্বর
  8. আধার কার্ডের সাথে লিঙ্কযুক্ত একটি বৈধ মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
  9. যেকোনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর
  10. IFSC কোড
  11. আধার কার্

ই শ্রম কার্ড কারা আবেদন করতে পারবে ?

যে কোনও কর্মী/শ্রমিক যিনি নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করে ভারতের নাগরিক তিনি ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

  • শ্রমিকের বয়স 15-59 বছরের মধ্যে হতে হবে
  • শ্রমিকের আয়করদাতা হওয়া উচিত নয়
  • কর্মীর EPFO ​​বা ESIC-এর সদস্য হওয়া উচিত নয়

ভারত সরকার যে পরিকল্পনাই চালায়! এর ডাটাবেসকে সেই সমস্ত স্কিমগুলির সাথেও সংযুক্ত করা হবে, যাতে এটি নিবন্ধন করতে এবং যে কোনও ধরণের কাজ করার জন্য একটি একক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সেক্টরে স্কিমগুলির সুবিধা নিতে সক্ষম হবে..সরকারি স্কিমগুলির সুবিধা নিতে সহায়তা করবে 

ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি

নিজে থেকেই কি ভাবে ই শ্রম কার্ড এর জন্য আবেদন করবেন দেখে নিন। প্রথমত এটি করার জন্য আপনার কাছে একটি ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থাকা জরুরি। যদি আপনার কাছে তা থেকে থাকে তাহলে কিছু সহজ স্টেপ ফলো করে ই শ্রম কার্ড এর জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। 


Note – নিজেথেকে ই শ্রম কার্ড আবেদন করার জন্য আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকা এবং ওই মোবাইল নম্বর টি পাশে থাকা একান্ত প্রয়োজন। যদি আপনার তা না থাকে তাহলে সামনের কোনো CSC সেন্টারে গিয়ে ই শ্রম আবেদন করুন

স্টেপ – ১ – আপনি পানার ফোন বা কম্পিউটারের ব্রাউজারে গিয়ে ই শ্রম এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান ( https://www.eshram.gov.in )। তারপর ওখানে “Self Registration” এ ক্লিক করুন।

স্টেপ -২ – প্রথম বক্সে নিজের মোবাইল নাম্বার টা দিন এবং নিচের বক্সে Capture টি দিন। তারপর ‘Send OTP’ তে ক্লিক করুন।

স্টেপ – ৩ – আপনি যে ফোন নাম্বার টি দিয়েছিলেন ওটাতে একটি OTP (One Time Password) যাবে। OTP টি এন্টার করে সবুজ রঙের যে Submit বটম টি রয়েছে সেটিতে ক্লিক করুন।

স্টেপ – ৪ – আপনার আঁধার নাম্বার টা দিয়ে নিচে I agree তে টিক মার্ক দিয়ে Submit এ ক্লিক করুন। 

স্টেপ – ৫ – আপনার আধার কার্ডের সঙ্গে যে মোবাইল নাম্বার যুক্ত করা আছে ওই মোবাইল নাম্বার একটি OTP যাবে। নিচের বক্সটিতে OTP টি দিয়ে Submit এ ক্লিক করুন

 

স্টেপ – ৬ –  আপনার সমস্ত তথ্য গুলি দেখে নিন সব ঠিক আছে কি না। তারপর I agree তে টিক দিয়ে Continue To Enter Other Details এ ক্লিক করুন।

স্টেপ – ৭ – উপরের ফ্রম টি ঠিক ভাবে পূরণ করুন এবং নিচে নমিনি ডিটেলস দিয়ে Save & Continue তে ক্লিক করুন।

স্টেপ – ৮ – আপনার বর্তমান ঠিকানা টি দিন এবং কতোদিন ধরে ওই ঠিকানায় আছেন দিন। তারপর Save & Continue তে ক্লিক করুন।

স্টেপ – ৯ – আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর সমস্ত ডিটেলস দিন (অ্যাকাউন্ট নাম্বার, IFSC কোড, অ্যাকাউন হোল্ডার এর নাম, ব্যাংক এর নাম, ব্রাঞ এর নাম ইত্যাদি )।

 

স্টেপ -১০ – তারপর সব কিছু ঠিক আছে কি না যাচাই করে নিন যদি সব ঠিক থাকে Submit এ ক্লিক করুন ( কোনোকিছু তথ্য ভুল থাকলে Edit এ ক্লিক করে ঠিক করে নিন)। তারপর Print তে ক্লিক করলেই আপনার ই শ্রম কার্ড টি ডাউনলো হয়ে যাবে।

 আপনার ই শ্রম কার্ড আবেদন করা সম্পন্ন হয়েছে। এর পর যে ই শ্রম কার্ড টির pdf file ডাউনলোড করেছেন সেটিকে সামনের কোনো সাইবার ক্যাফে তে গিয়ে প্রিন্ট বেরকরেনির। এর পর আপনি চাইলে কার্ড টি লেমিনেশনও করতে পারেন 

যদি কোনো প্রশ্ন থেকেথাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

সারাংশ – ই-শ্রম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথমে ই- শ্রম এর অফিসিয়াল সাইট  https://www.eshram.gov.in/-এ যেতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার (Aadhaar) নম্বর দাখিল করতে হবে। এর পরই আগে থেকে ডেটাবেস থাকা অসংগঠিত শ্রমিকের সমস্ত তথ্য আপনাআপনি দেখা যাবে। এর পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ও নিজের মোবাইল নম্বর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পূরণ করে দিতে হবে। এর পরেও কোনও কিছু আপডেট করতে চাইলে তা করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ একটি ই-শ্রম কার্ড জারি করা হবে। আরও বিশদ তথ্যের জন্য ১৪৪৩৪ টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। এমনকী বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকার তাদের কর্মীদের রেজিস্ট্রেশনও করাতে পারবে।


ই শ্রম পোর্টালের বৈশিষ্ট্য?

অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত দেশের কোটি কোটি শ্রমিকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে, সরকার ই-শ্রম পোর্টাল চালু করেছিল, যেটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি শ্রমিক নিজেদের নিবন্ধন করেছেন। আসলে, ই-শ্রম পোর্টাল হল অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি ডাটাবেস। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের মতে, এর লক্ষ্য দেশের সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস তৈরি করা, যার মধ্যে রয়েছে নির্মাণ শ্রমিক, অভিবাসী শ্রমিক, গিগ এবং প্ল্যাটফর্ম শ্রমিক, হকার, গৃহকর্মী, কৃষি শ্রমিক ইত্যাদি, সংযুক্ত করা। আধার দিয়ে। হয়। এটি অভিবাসী এবং নির্মাণ শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং কল্যাণ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্য রাখে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, শ্রমিকরা তাদের কার্ড তৈরি করতে পারবেন এবং সরকার কার্ডধারীদের অনেক সুবিধা প্রদান করবে।

ই  শ্রম যোগাযোগের ঠিকানা?

  • রাফি মার্গ, নিউ দিল্লি -110001
  • ইমেল: help-shramsuvidha@gov.in
  • ফোন নম্বর: 011-23354722 (কাজের দিনে 2:00 PM থেকে 5:00 PM পর্যন্ত)

4 thoughts on “ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি। ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা”

Leave a Comment