দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ২০২৩, কবে থেকে শুরু, কি কি নতুন প্রকল্পের সুবিধা পাবেন দেখুন

Photo of author

By banglaportal.in

Duare Sarkar Camp 2023: পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১ লা ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চালু করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার গত ২ বছর থেকে একই নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের আয়োজন করে। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যাতে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা খুব সহজেই পাই সেটাই ছিল মূল লক্ষ্য। এই ক্যাম্প শুরুর সময় অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩২০০০ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। গত দুই বছরে সমস্ত প্রকল্প মিলিয়ে কোটির বেশি আবেদন জমা পড়েছিল এবং প্রত্যেক টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। বছরের ২ বার করে এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে কোন তারিখে এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু কবে হবে,কি কি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন,কিভাবে ডকুমেন্টস রেডি রাখতে হবে, এককথায় দুয়ারে সরকার নিয়ে সমস্ত তথ্য আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।

দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত

১) এই বছরের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলি প্রত্যেকটি বুথে বুথে আয়োজিত হবে।

২) পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।

৩) এই বছর দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলবে ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত।

৪) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টার্গেট এই বছর রাজ্য জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।

৫) ২০২৩ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মোট ১৮ টি প্রকল্পের আবেদন এবং সুবিধা পাওয়া যাবে।

এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে কি কি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বিস্তারিত

Duare Sarkar Camp 2023

১) লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গ সরকারে সমস্ত প্রকল্প গুলির মধ্যে একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হলো লক্ষীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মহিলা তাঁদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে সরাসরি ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা করে পাচ্ছে। ২০২৩ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও এই প্রকল্পের যাবতীয় কাজ হবে। নাম সংশোধন, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, নতুন লক্ষীর ভান্ডার আবেদন, যারা কোনো কারণে টাকা পাননি তারাও আপনাদের অভিযোগ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জানাতে পারবেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হলেই আপনি সেই ক্যাম্প থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম নেবেন, সেই ফর্মটি নির্ভুল ভাবে ফিলাপ করে তার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যুক্ত করে ক্যাম্পের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা করবেন।

২) কৃষক বন্ধু প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আপনার নিজের নাম জমি থাকতে হবে এবং সেই জমির অনলাইন পর্চা যেন থাকে তাহলে আপনি এই কৃষ্ণক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্পে সরকার বার্ষিক ৪০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও এই প্রকল্পের সুবিধা হলো যে যদি কোনো কৃষক ৬০ বছর বয়সের আগেই মারা যায় তাহলে তার পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই সুবিধা তাঁরাই পাবেন যাদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম রয়েছে বা এই প্রকল্পের সুবিধা পান।

৩) ঐকশ্রী প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের সুবিধা হল ক্লাস ১ থেকে পিএইচডি এবং ডক্টর ডিগ্রি পড়াশোনার জন্য বা পড়াশোনা চলাকালীন এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ শুরু হয় বছরের শেষের দিকে এবং এই প্রকল্পের সুবিধা ছাত্রছাত্রীরা ৪-৫ মাসের মধ্যেই অর্থাৎ পরের বছরের মে অথবা জুন মাসে পেয়ে থাকে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে এই স্কলারশিপের আবেদন করতে পারেননি, তারা চলতি মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ঐকশ্রী স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন জমা করতে পারেন। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে এই স্কলারশিপের টাকা খুব কম সময়ের মধ্যে ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন।

৪) রূপশ্রী প্রকল্প

এই প্রকল্প শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য। যে সমস্ত মেয়েদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে তবুও বিয়ে হয়নি অর্থাৎ এখনো পড়াশোনা করছে সেই সমস্ত ছাত্রীদের জন্য এই প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্রীদের বিয়ের খরচের জন্য এককালীন ২৫,০০০/- টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়ের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনেক পরিবারের সুবিধা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ছাত্রীরা আর্থিক অনুদান পেয়েছেন। এই প্রকল্পে আবেদন করার ১৫ থেকে ১ মাসের মধ্যে হাতের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ২৫ হাজার টাকা ক্রেডিট করা হয়।

৫) কন্যাশ্রী প্রকল্প

রূপশ্রী প্রকল্পের মত এই কন্যাশ্রী প্রকল্পেও ছাত্রীদের ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। ছাত্রীরা যেন তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, এই উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বার্ষিক ৭৫০ টাকা আর্থিক প্রদান করে। যেই টাকাটি ছাত্রীর ১৮ বছর পূর্ণ হলেই ২৫ হাজার টাকা একসঙ্গে সেই ছাত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে ক্রেডিট করা হয়। যারা অনলাইনের মাধ্যমে অথবা স্কুলে এই প্রকল্পের আবেদন করতে পারেননি তারা এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে এই প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন। আপনার বুথে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হওয়ার আগে আপনি কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করে রাখুন।

৬) মানবিক প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী শারীরিক প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত যোগ্য নাগরিকদের প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা পেনশন প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য অবশ্যই ৫০% অথবা তার বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে হবে। এই প্রকল্পের আবেদন করার জন্য আপনারা আপনাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখুন আপনার এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হলে, আপনি এই প্রকল্পে আবেদন করবেন।

৭) তপসিলি বন্ধু প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের তপশিলি শ্রেণীর নাগরিকদের জন্য এই তপশিলি বন্ধু প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ৬০ বছরের উপরে হতে হবে। এই প্রকল্পে যোগ্য আবেদনকারীরা প্রতিমাসে ৬০০ টাকা পেনশন পাবেন। অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই প্রকল্প যেহেতু তপসিলি শ্রেণীর নাগরিকদের জন্য তাই আমি যখন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে এই প্রকল্পের আবেদন করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে কিনা অর্থাৎ বয়সের প্রমানাপত্র এবং কাস্ট সার্টিফিকেট অবশ্যই জমা করতে হবে।

৮) জয় জোহার প্রকল্প

জয় জোহার প্রকল্প হল তপশিলি উপজাতি অর্থাৎ আদিবাসী (Schedule Caste) শ্রেণীর মানুষদের জন্য একটি পেনশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই ৬০ বছর অথবা তার বেশি বয়সের হতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপশিলি আদিবাসীরা প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। এই প্রকল্পটি ২০২০ সালে চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর অবশ্যই ST সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

৯) শিক্ষাশ্রী প্রকল্প

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ছাত্র আর্থিক সুবিধা পাবে। তপশিলি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের শুধুমাত্র তপশিলি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্ররা আবেদনের যোগ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্ররা ৬৫০ টাকা, সপ্তম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্ররা ৭০০ টাকা এবং অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্ররা ৮০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে। এই প্রকল্পের আবেদনও আপনি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই করতে পারবেন। যদি আপনি ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য অনলাইন আবেদন করে থাকেন তাহলে দুয়ারে সরকার আর আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই।

১০) স্বাস্থ্য সাথী

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যোগ্য আবেদনকারীদের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করে থাকে। এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারীদের জন্যই প্রযোজ্য। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করতে হবে। আর এই কার্ড বাড়ির মহিলাদের নামে হবে। সরকার ক্যাম্পে আপনার বাড়ির মহিলাদের এবং সমস্ত সদস্যের ডকুমেন্ট দোয়ারের সরকার ক্যাম্পে গিয়ে জমা করুন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে বিডিও অফিস অথবা পঞ্চায়েত অফিসে ছবি তোলার জন্য ডাকা হবে। তার কিছু দিনের পরেই আপনি এই স্বাস্থ্য সাথী পেয়ে যাবেন। এই কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর আপনি যে কোন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে আপনার বড় বড় অপারেশনের প্রয়োজন হলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করতে পারবেন। পরিবারে একটি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে সেই কার্ডের আওতায় সেই পরিবারের সমস্ত সদস্যগন সুযোগ সুবিধা পাবেন।

১১) খাদ্য সাথী প্রকল্প

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী সমস্ত পরিবার বিনামূল্যের রেশন নিতে পারবেন। এখন আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রেশন কার্ড (PHH, RKSY-1,2,SPHH) রয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় চার কোটির মত মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ২০১৫ সালে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনাদের যাদের খাদ্য সাথী কার্ডে রয়েছে কিন্তু তাতে আধার লিঙ্ক নেই, আর সেই জন্যই হয়তো আপনি রেশন এর সামগ্রী পাচ্ছেন না, তাহলে আপনি এই এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আপনার খাদ্য সাথী কার্ড দিয়ে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করুন।

১২) মেধাশ্রী প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গের সরকারের এটি একটি নতুন প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র OBC শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা পাবে। মেধা শ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্পের যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবছর ৮০০ টাকা করে স্কলারশিপ পাবে। পশ্চিমবঙ্গের যে কোন সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে। প্রাথমিক সূত্রে খবর প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্প সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে চলতি মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যোগাযোগ করুন অথবা নিচের দেওয়া দুয়ারে সরকারের টোল ফ্রি নম্বর এর যোগাযোগ করুন।

১৩) স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২১ সালের ৩০ শে জুন রাজ্যজুড়ে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেন। এই স্কিমের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থাৎ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যায় করার জন্য সরকারের কাছ থেকে সরল বার্ষিক সুদে ঋণ পাবে। আর এই ঋণ প্রদান করা হবে তার গ্যারেন্টাল হিসেবে থাকবে রাজ্য সরকার। ছাত্রছাত্রীরা এই টাকা খরচ করে যেন তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প সূচনা করা। ৪% হরে মিলবে এই ঋণ। এই প্রকল্পের যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। শুধু দেশে নয় বিদেশেও এই কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে এই টাকা ব্যয় করতে পারবেন। চলতি এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেও আপনি এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

১৪) বিধবা ভাতা

বিধবা ভাতা পাওয়ার জন্য বিধবা মহিলাকে অবশ্যই ভারতে নাগরিক এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত বিধবা মহিলারা প্রতিমাসে ৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়। আপনি যদি লক্ষীর ভান্ডার এর টাকা পাচ্ছেন তাহলেও আপনি এই বিধবা ভাতা র টাকা একসাথে আপনার ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন। আপনি বিধবা কিনা তার একটি ডকুমেন্টস আপনি অবশ্যই প্রস্তুত রাখবেন। আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আপনি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন।

১৫) বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৭ সালে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু করেন। বর্তমানে সেটি বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা নামে পরিচিত। আগে এই প্রকল্পে আবেদনকারী অর্থাৎ এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত নাগরিকদের নিচে থেকে প্রতি মাসে টাকা জমা করতে হতো। কিন্তু এই নিয়মের পরিবর্তন আনা হয় সুবিধাভোগীদের সরকারের তরফ থেকে ২৫ টাকা করে প্রতি মাসে তাদের একাউন্টে জমা করা হয়। এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।৬০ বছর পূর্ণ হয়ে গেলেই পেনশন পেতে শুরু করবেন। আবেদনকারী কি অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা হল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপনার কোন অপারেশন হলে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন, আবেদনকারীর মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

এছাড়াও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে আপনি নতুন কাস্ট সার্টিফিকেট, বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে পারবেন। এই দুয়ারে সরকার অথবা পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো প্রকল্পের বিষয়ে জানতে অফিসিয়াল টোল ফ্রি নম্বরে যোগাযোগ করুন।

Toll free – 18003450117,03322140152

হোয়াটসঅ্যাপJoin Group
টেলিগ্রামJoin Here
অন্যান্য খবরClick Here